এই লেখাটি লেখার সময়
থেকে আজকের ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ
২০১৪ ফাইনাল শুরু হবে সাড়ে সাত
ঘন্টা পর। এই কয়েকদিন টেকটিউন্স
জুড়ে ফিফা নিয়ে মাতামাতি হল।
আজ তাঁর শেষ দিন। তাই ভাবছিলাম
কি লেখা যায়। মজার কথা হল
আমি একটু বেশী দেশ ভক্ত তো তাই
বাংলাদেশ না খেলায় ফুটবল
দেখিনা। তাই এই
নিয়া মাতামাতি, লেখালেখিও
পারিনা। কিন্তু
আপনাদেরকে উপহার দেয়ার মত
রয়েছে শুধু ফিফা ওয়ার্ড কাপ
ফাইনাল দেখার লিংক।
তবে ভাবলাম শুধু শুধু লিংক
দিয়ে আপনি মজা নাও
পেতে পারেন। তাই অনলাইন
পত্রিকা গুলো থেকে একটি তথ্য
ভিত্তিক লেখা কপি মেরে এই
লেখার বসিয়ে দিলাম। মাইন্ড
করিয়েন না কেউ।
A- অতলে এশিয়া:
এশিয়া মহাদেশের চার দল
ব্রাজিলে গিয়ে জয়ের মুখ
দেখতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৯০
সালে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর
এই প্রথম এশিয়ার কোনো দল
ফুটবলযজ্ঞে একটিও জয়ের
দেখা পায়নি।
B-কামড়ে তোলপাড়:
ফুটবল থেকে এখন চার মাস
নির্বাসিত উরুগুয়ের ফুটবলার লুইস
সুয়ারেজ। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের
ম্যাচে ইতালির ফুটবলার জর্জিও
চিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে ফুটবল
বিশ্বে আলোচনার ঝড় তোলেন সদ্য
বার্সেলোনায় যোগ দেয়া এই
ফরোয়ার্ড।
C-টাকার জন্য:
বিশ্বকাপে পর্তুগালের
বিপক্ষে ম্যাচের আগে বোনাসের
দাবিতে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায়
ঘানা ফুটবল দলের সদস্যরা।
ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে ঘানার
প্রেসিডেন্ট ফুটবলারদের বোনাস
দেয়ার কথা ঘোষণা দেন। কিন্তু
‘ব্লাক স্টারস’রা দুই হারের শিখার
হয়ে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব
থেকে বিদায় নেয়।
D-দিলমার সঙ্কট:
ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন
নিয়ে কম
ঝামেলা পোহাতে হয়নি দেশটির
প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফকে।
বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম ও
অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রচুর
অর্থ ব্যয় দেশটির বঞ্চিত
মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।
যদিও শেষ পর্যন্ত ফুটবল মহাআসর
মাঠে গড়ালে আস্তে আস্তে সেই
আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
E-সম্মানে কালিমা:
বিশ্বকাপের
সবচেয়ে বনেদি আসনটা বরাদ্দ
থাকে ব্রাজিলিয়ানদের জন্য।
কারণ ফুটবলই তাদের ধর্ম, ফুটবলই
তাদের জীবন, এটাই তাদের স্বপ্ন।
কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই
ব্রাজিলিয়ানদেরই
কিনা রীতিমত চূর্ণ
করেছে জার্মানরা।
চলতি বিশ্বকাপের
সেমিফাইনালে সেলেসাওদের
৭-১ গোলের লজ্জায়
ডুবিয়েছে জার্মান যন্ত্র।
F-ফুটবল সমর্থক:
দক্ষিণ
আফ্রিকা বিশ্বকাপে ফাঁকা স্টেডিয়ামে বেশ
দৃষ্টিকটু মনে হয়েছিল।
তবে ব্রাজিলে এসে সেই
শূন্যতা আর থাকেনি। লাতিন
আমেরিকার দর্শকরা পঙ্গপালের
মতো ঝাকে ঝাকে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত
হয়েছে। যা এই বিশ্বকাপকে দর্শক
উপস্থিতির দিক দিয়ে দ্বিতীয়
সেরা বানিয়েছে।
G-গোল, গোল ও গোল:
এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ
পর্বে গোলের বর্ষন হয়েছে। অবশ্য
দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে এই
ধারা কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ে। কিন্তু
তারপরেও চলতি বিশ্বকাপের দুই
ম্যাচ বাকি থাকতেই
ইতিমধ্যে ১৬৭টি গোল হয়ে গেছে।
১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপের
টুর্নামেন্ট রেকর্ড থেকে আর
চারটি গোল দূরে এবারের আসরটি।
H-হ্যান্ডস অব হাওয়ার্ড:
বেলজিয়ামের
বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ষোলোর
ম্যাচে বিশ্বকাপে রেকর্ড
১৬টি সেভ করেছেন মার্কিন
গোলকিপার টিম হাওয়ার্ড। যদিও
সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জয়
থামাতে পারেননি অভিজ্ঞ এই
গ্লাভসম্যান।
I-দর্শক আক্রমণ (ইনভেশন):
বজ্র আটুনি, ফস্কা গেরো। এই
বিশ্বকাপের দুর্ভেদ্য
নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে পাশ
কাটিয়েও ঠিকই
মাঠে প্রবেশে করেছে কিছু
সহিংস দর্শক। চিলির ফুটবল
ভক্তরা মিডিয়া সেন্টারে প্রবেশ
করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
J-জেমস রদ্রিগেজ:
কলম্বিয়ার শিশুমুখো মিডফিল্ডার
জেমস রদ্রিগেজ এখন আর
অচেনা কোনো নাম নয়।
বিশ্বকাপে স্বপ্নের
ফেরিওয়ালা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন
তিনি। আর রঙ-তুলির
মাধ্যমে একেছেন ছয় গোলের
মহাকাব্য। যা এখন পর্যন্ত এই
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ।
K-মিরোস্লাভ ক্লোসা:
বয়সের
ফ্রেমকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন
জার্মান ফরোয়ার্ড মিরোস্লাভ
ক্লোসা। তারকা খ্যাতির
ঝলমলে ঔজ্জল্য না থাকলেও
হয়ে গেছেন বিরল এক
কিংবদন্তি গাথার অংশ। কারণ ‘দ্য
ফেনোমেনন’
রোনাল্ডোকে ছাপিয়ে এখন
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরেরর
নাম ক্লোসাই। ফুটবল প্রতিভার
পূর্ণতার মঞ্চে ১৬ বার উচ্ছ্বাস
করেছেন লাৎসিও’র এই বুড়ো।
L-লোটোর রাজত্ব:
এতো দিন পর্যন্ত বিশ্বকাপের
রাজত্বে অ্যাডিডাস, নাইকি ও
পুমার লড়াই চলত। এবার বাণিজ্যের
সেই মহালড়াইয়ে সামিল ‘লোটো’।
ইতালির বিখ্যাত এই
ব্রান্ডটি এবার কোস্টারিকার
বদৌলতে আরো বেশি প্রসারিত
হয়েছে।
M-মেমেস (ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ):
এর আগ সোশ্যাল মিডিয়া ও
বিশ্বকাপ ফুটবল কখনোই এমন
পিঠাপিঠি ভাবে চলেনি, এবার
যেভাবে চলছে। মেক্সিকোর
বিপক্ষে আরিয়েন রোবেনের
পেনাল্টি আদায়
নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন হয়।
তেমনিভাব লুইস সুয়ারেজের কামড়
কিংবা ব্রাজিলের হার নিয়েও।
N-নেইমার ইস্যু:
এই বিশ্বকাপের শুরুতে ঘরের মাঠের
আসরটা নিজের করে নেয়ার প্রত্যয়
দেখিয়েছিলেন নেইমার। গ্রুপ
পর্বেই চার গোল করেন
ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন। কিন্তু
কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলায়
নেইমারের ছিটকে পড়ায় মুখ
থুবড়ে পড়ে স্বাগতিকদের। এর
অনিবার্য ফল হলো জার্মানির
কাছে ৭-১ গোলের হার।
O-ওলডেস্ট (বুড়ো):
কলম্বিয়ার ফুটবলার ফরিদ মন্দ্রগান
এখন বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ
নেয়া সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার। ৪৩ বছর
বয়সে ‘সি’ গ্রুপের
ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ৪-১
গোলের ম্যাচে মাঠে নামেন
তিনি।
P-পেনাল্টি তোলপাড়:
এই বিশ্বকাপ অনেকগুলো বিতর্কিত
পেনাল্টি এবং বেশ কিছু
পেনাল্টি শুটআউট কীর্তিগাথার
জন্য বিখ্যাত হয়ে থাকবে ফুটবল
ইতিহাসে।
Q-রানীর চুম্বন:
ইতালির ফুটবলার মারিও
বালোতেল্লি ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ ঔজ্জল্য
ছড়িয়েছিলেন। এরপর
ঘোষণা দিয়েছিলেন
তিনি যদি পরের
ম্যাচে কোস্টারিকাকে থামিয়ে দিতে পারেন
ও গোলের দেখা পান
তাহলে ইংল্যান্ডের রানীর চুম্বন
চান। অবশ্য পরের ম্যাচে গোলের
দেখা পাননি এসি মিলান
স্ট্রাইকার।
R-রেসিফের বৃষ্টি:
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর
রেসিফের বন্যা ও অবিরত
বৃষ্টি এবার বেশ আলোচনার জন্ম
দিয়েছে। বিশেষত মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ম্যাচের
আগে। কারণ, ম্যাচটি হওয়ারই
কথা ছিল না। কিন্তু শেষমেষ
নিরুপদ্রুত ভাবেই ওই ম্যাচটি সম্পন্ন
হয়।
S-স্পেনের বিপর্যয়:
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে ব্রাজিল
পা রেখেছিল স্পেন। তখন তাদের
চোখে ছিল টানা দ্বিতীয়বার
বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। কিন্তু সব
আশা গুড়িয়ে চলতি বিশ্বকাপের
গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়
লা রোজারা। এর
সাথে সাথে প্রথম
পর্বে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
হিসেবে সাত গোল হজম করার বিরল
ও ন্যাক্কারজনক রেকর্ডেও নাম
লেখায় তারা।
T-টেকনোলজির ব্যবহার:
এই বিশ্বকাপে বেশ কিছু প্রযুক্তির
ব্যাবহার হয়েছে। যা বেশ নজর
কেড়েছে। এর মধ্যে গোললাইন
প্রযুক্তি,
ভ্যানিশিং স্প্রে কিংবা বলেই
ক্যামেরার ব্যবহার
খেলাটিকে আরো উৎকর্ষমণ্ডিত
করেছে।
U-আন্ডার অ্যারেস্ট:
বিশ্বকাপের টিকিট জালিয়াতির
অভিয়োগে কয়েক দিন
আগে সুইডেনের কিছু
চোরাকারবারীকে গ্রেফতারের
নির্দেশ দিয়েছে রিও
ডি জেনিরোর একটি আদালত।
V- ভ্যাশিং স্প্রে:
মাঠের খেলায় ফ্রি-কিক নেয়ার
সময় প্রায় জটলা বাধে।
রেফারি কোনো দলের
ফুটবলারকে এক জায়গায় দাঁড়
করাচ্ছেন কিন্তু বারবার
তারা সরে দাঁড়াচ্ছে। এই সমস্যার
সমাধানে এই বিশ্বকাপে অভিষেক
হয়েছে ভ্যানিশিং স্প্রে’র।
W- ওয়াটার ব্রেক:
এই বিশ্বকাপেই প্রথম ক্রিকেটের
ন্যায় খেলার মাঝে পানি পানের
বিরতির অভিষেক হয়।
নেদারল্যান্ডস ও মেক্সিকোর
মধ্যেকার শেষ ষোলোর খেলায়
প্রথমার্ধের ৩০ মিনিট পর এই
বিরতি দেখা যায়।
X- জারদান শাকিরি:
সুইজারল্যান্ডের জারদান
শাকিরি বিশ্বকাপ ফুটবলের
ইতিহাসে ৫০ তম হ্যাটট্রিকের
কৃতিত্ব দেখান এই বিশ্বকাপে। গ্রুপ
পর্বের খেলায় হন্ডুরাসের
বিপক্ষে ম্যাচে এই কৃতি দেখান
‘আলপাইন মেসি’।
Y- ইউচি নিশিমুরা:
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোড়ন
তোলা রেফারির নাম
ইউচি নিশিমুরা। জাপানি এই
রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ-
ক্রোয়েশিয়ার
বিপক্ষে অন্যায়ভাবে স্বাগতিক
ব্রাজিলকে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েছিলেন
তিনি।
Z- জুয়ান জুনিগা:
ব্রাজিল বিশ্বকাপে খলনায়কের
ভূমিকায় অবতীর্ণ কলম্বিয়ার
ডিফেন্ডার জুয়ান জুনিগা। তার এক
ঘুতোতেই নেইমারের
মেরুদণ্ডে চিড় ধরে। আর বিশ্বকাপ
থেকে ছিটকে পড়েন
বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
ফলে স্বাগতিকদের বিশ্বকাপ
স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটে।
** ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪ লাইভ
অনলাইন দেখুন সর্বনিম্ন নেট
স্পিডে **