Home About-us Privacy Policy Contact-us Services

আপনি কি ফেসবুকে অটো লাইক পেতে চান????? স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ মেগা টিউন (স্বঘোষিত)

ad+1

আপনি কি একজন সাধারন ফেসবুক
ব্যবহারকারী? আপনার ফেসবুক
স্ট্যাটাসে লাইক কম পড়ে?
আপনি এখন ফেসবুক অটো লাইক
পেতে চান?

প্রথমেই আন্তরিকভাবে দুঃখিত
এবং হাত জোড়
করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনার
আশা আমি ভেঙ্গে ফেলছি বলে।
হাতে যদি একটু সময়
থেকেথাকে এবং আপনিযদি ফেসবুক
অটো লাইক খুঁজতে খুঁজতে বেহুশ
হয়ে থাকেন তবে আমি অন্তত
এতোটুকু
আশাদিতেপারিআমিআপনাকেঅটোলাইক
সম্পর্কে আজ কিছু কথা বলব। তারপর
আপনিই ঠিক করে নিবেন
আপনি অটো লাইক চান কি না চান?

তাহলে শুরু করি?
আমি যেহেতু একজন
টেকনোলোজি বিষয়ক ব্লগার।
অবশ্যই এসবক ফেসবু অটোলাইক
নিয়া হলে কিছুটা পড়াশুনা করেছি!
এই টিউন লেখার জন্য অটো লাইক
শব্দটা আমি প্রথম শোনার পর থেকেই
ঝাপিয়ে পড়েছিলাম অনুসন্ধানে।
সফলতা বলতে আমি কোন
অটো ফটো লাইক টাইক পাইনাই,
তবে পাইছি শুধু আজকের টিউন
লেখার জন্য কিছু জ্ঞান বিজ্ঞান।
আমাকে কেউ কি বলবেন
যে আপনি অটো লাইক
নিয়ে কি করবেন? খাবেন
নাকি মাথায় দিবেন? সবার উত্তর
হবে সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য
অটো লাইক নিবেন। এই যে ভাই
সেলিব্রেটি মানে কি?

সেলিব্রেটিমানেকিআপনিএকখান
আউফাউ স্ট্যাটাস দিলেন, কয়েক
হাজার অটো লাইক পাইলেন, আর
আপনারে মানুষ
সেলিব্রেটি বলবে?

মানুষকে গালি দিতে চাইনা। তবুও
বলি এই
অটোলাইকেযারাআপনারেসেলিব্রেটিবলবেতাঁরাআসলেই
আস্ত বড় আবাল। আবাল শব্দ
ছাড়া অন্য কিছুও
বলা যেতে পারে।
আচ্ছা যাই হোক সময় কম সব কথাই অল্প
অল্প করে বলি। এবার আসি ফেসবুক
অটো লাইকের খারাপ দিকের
কথায়। আসলে সব কিছুর খারাপ
দিকের
আগে ভালো দিকটা বলা উচিত।
কিন্তু ইহার আমি ভালো দিক
আমি খুজেই পাইলাম না।
একটা ভালো দিক আছে অবশ্য। আর
সেটা হল কিছু আবাল
আপনাকে ফেসবুক
চেলিব্রেটি বলে ডাকবে। আর
বাকি সবই খারাপ দিক। আচ্ছা ভাই,
সাকিব আল হাসান কি ফেসবুক
অটো লাইক ব্যবহার করে নাকি?
না করেনা।

তাইলে উনি সেলিব্রেটি হইল
ক্যামনে? হুম, মানুষ তাঁর কাজ +
ভাগ্যের
মাধ্যমে সমাজে ভালো জায়গায়
যখন যায় ঠিক তখনই তিনি হয়ে যান
সেলিব্রেটি। আর কিছু আবাল
জনগোষ্ঠী নতুন সেলিব্রেটির উদ্ভব
করেছে আর তাঁর নাম
দিয়েছে "ফেসবুক সেলিব্রেটি'।
এটা কোন কথা হল?
আমি জানি অটো লাইক
একটি ভুয়া এবং নব্য প্রতারনা। তবুও
হাতে কলমে প্রমানের জন্য গত দু
মাস থেকে একটি ফেইক
আইডি খুলে এই অটো লাইক
গবেষণা করেছি।

আইডিটাতে আমি কিছুই করিনি। শুধু
তাঁর উপর প্রয়োগ করেছি শুধু
অটো লাইকের চিকিৎসা। অর্থাৎ,
চোখের সামনে যত অটো লাইক
সাইট পাইছি সেগুলাই ট্রাই
করেছি। বিনিময়ে অটো লাইক
তো দূরে থাক আজ সেই ফেইক
আইডিটাই মৃত্যু বরণ করেছে। ভাই
ভালো করে একটু শুনেন, এইসব
অটো লাইক হইল নব্য প্রতারণা। হ্যাঁ,
অটো লাইক বলে কিছু
একটা তো আছেই। কিন্তু
সেটা কিছুটা ভিন্ন। মানুষ
যেদিকে নজর বেশী দেয়
হ্যাকাররা বা অন্য কোন
গোষ্ঠীসেটাকেকাজেলাগিয়েথাকে।
হাজার হাজার ফেসবুক অটো লাইক
সাইটের ভিড়ে আসল অটো লাইক
সাইট আসলেই হাতে গোনা।
যেহেতু আপনি চোখ বন্ধ করেই
অটো লাইকে যেয়ে পাগলামি শুরু
করবেন। সেহেতু অনেকেই সেই
সুযোগটাকেকাজেলাগিয়েহ্যাকিংবাঅন্য
কিছুতে নেমে পড়েছে।

অটো লাইক সাইট গুলো আজকাল
এলাকার
গলিতে গলিতে পয়দা হওয়ার মত
অবস্থা। আপনারা ফিশিং সাইট
সম্পর্কে নিশ্চয়ই
ভালোভাবে জ্ঞান আহরণ
করেছেন? হ্যাঁ, অনেকে আবার
ফিশিং সাইটে পড়ে আহত
হয়ে চিকিৎসাও নিয়েছেন। আর
অটো লাইকের যে ভুয়া সাইট
গুলা হল সেরকমই কিছু
একটা আপনি পাগলের মত মাতাল
হয়ে সুন্দর বিউটি পার্লারের মত
কোন অটো লাইক সাইটে গেলেন।

আপনাকে ফেসবুকে লগিন
করে এক্সেস টোকেন গ্রহনের জন্য
আদেশ দেয়া হল। আর আপনি সেটাই
করলেন। তারপর দেখলেন নাহ! এই
সাইটে হল না !!!!! আরেকটা কোন
ভাল সাইটে যাই। আর এভাবেই
আপনি আপনার সর্বনাশ
ডেকে আনেন নিজে নিজে। ভাই
শুনেন, আপনারা আমাকে অনেকেই
জিজ্ঞাস করেন ফেসবুক
আইডি টেকে না কেন? ভাই
ক্যামনে টিকবে এবার আপনিই বলুন
তো? ফেসবুকে আইডি ব্যান হয় শুধু
মাত্র একটা কারণে। জানতে চান
কি সেই কারণ? ফেসবুকের
নীতিমালা !!!!!!!! ফেসবুকের
নীতিমালা ভাঙবেন
তো আপনাকে ঘাড় ধরে বের
করে দিবে। অনেকের সেই
অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর ফেসবুকের
কোন নীতিমালায় বলা আছে ভাই
তোমরা অটো লাইক করো, ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্ট পাঠাও গণ হারে,
ফেসবুক পেজের বিজ্ঞাপন করো
স্প্যামিং করে, সুন্দর সুন্দর নারীর
পিকচার দেখলেই সেই
আইডিতে ঘুতাঘুতি করো? ওদের
কোন নীতিমালায়
এগুলা বলা নাই।

বলা আছে এগুলা না করতে আর
সেগুলাই আমরা করি। ফেসবুক এর
প্রধান উদ্দ্যেশ্য হল ফ্রেন্ডস এন্ড
ফেমিলির সাথে কানেকটেড
থাকা। আর
আমরা বাঙালিরা নয়া নিয়ম
বানাইছি যে, প্রথমে ৫০০০ ফ্রেন্ড
বানাও তারপর অটো লাইক ইউজ
করো + লাখ লাখ অটো ফলোয়ার
বানাও। বাহ, আমাদের আইডি ব্যান
হবেনা ক্যান বলুন? আর
আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি,
আপনি অটো লাইক
সাইটে যে ফেসবুকের এক্সেস
টোকেন দান করে আসেন
সেটা পাসওয়ার্ড না হলেও
অনেকটা পাসওয়ার্ডের মতই।

একটা আঞ্চলিক ভাষায় কথা আছে।
জানিনা বলা শোভা পাবে কিনা।
তবুও বলি, আমরা ওইসব
সাইটেযেগুলাকরিসেগুলাঅনেকটাচোরকেবকরিআদিদিয়েআসার
মত কাহিনী। অর্থাৎ
আপনি হ্যাকারকে পাসওয়ার্ড
দিয়ে আসলেন।
এখন কিছু ফেসবুক অ্যাডিক্টেড ভাই
বোনের জন্য পরামর্শ দেই।
আপনারা যদি আপনার ফেসবুক
আইডিটাকে আপনার জানু ভাবেন
তবে টিউনটা পড়ে তাঁর সারমর্ম
অনুযায়ী ফেসবুক চালাইবেন।
আমি ৩ বছর ধরে একটা আইডিই
চালাচ্ছি। আর আমার
কাজিনদেরকে ফেসবুক
আইডি খুলে দিতে দিতে আমার
মেজাজ চরমে উঠে গেছে।

ফেসবুকের মালিক জাকারবারগ
হইলেও আপনার আইডির মালিক
আপনি। দোষ
না করলে জাকারবারগের
বাবা আসলেও আপনার ফেসবুক
আইডির কিছু করবেনা। কারণ আপনার
ফেসবুক আইডিই উনার পেটে ভাত
দেয়।
আমার আজকের
স্বঘোষিত
মেগা টিউনটি কেমন
লাগলো?

Home About-us Privacy Policy Contact-us Services
Copyright © 2014 kite | All Rights Reserved. Design By Templateclue - Published By Gooyaabi Templates