অনেকেই কম্পিউটারের
গতি কমে গেলে বিভ্রান্ত
হয়ে যান। কম্পিউটার
যদি ধীরগতিতে কাজ
করে তাহলে কার না বিরক্ত
লাগে! কিন্তু সামান্য কিছু
কাজ করলে কম্পিউটারের
গতি কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
এ ধরনের কয়েকটি উপায় দেখে নিন
।
১. জায়গা খালি করুন
অনেক কম্পিউটারেরই হার্ড
ডিস্কের
জায়গা ভর্তি হয়ে যাওয়ায়
সেগুলো ধীর হয়ে যায়। আর হার্ড
ডিস্কের
জায়গা খালি না করলে কোনোভাবেই
সেগুলোর গতি ফেরানো সম্ভব হয়
না। প্রত্যেক হার্ড ডিস্কেরই
কমপক্ষে পাঁচ ভাগ স্থান
খালি রাখা প্রয়োজন। তাই
গতি বাড়ানোর জন্য প্রথমেই
আপনাকে হার্ড ডিস্কের কিছু
জায়গা খালি করতে হবে। অনেক
কম্পিউটারেই বহু প্রোগ্রাম
ইনস্টল করা থাকে, যেগুলোর
কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এসব
অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ফাইল
মুছে ফেলাই
হতে পারে গতি বাড়ানোর
অন্যতম উপায়।
২. কম্পিউটার ঠাণ্ডা রাখুন
কম্পিউটারের ভেতরের
যন্ত্রগুলো অতিরিক্ত গরম
হয়ে গেলে তার
গতি কমে যেতে পারে কিংবা বন্ধও
হয়ে যেতে পারে। এ
সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই
কম্পিউটারের বাতাস চলাচলের
পথগুলো উন্মুক্ত রাখতে হবে।
ভেতরে ময়লা জমলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার
করতে হবে।
ল্যাপটপে এমনটা হলে বাড়তি ফ্যানসহ
কুলিং প্যাড ব্যবহার
করতে পারেন। আর ডেস্কটপ
কম্পিউটার বেশি গরম
হলে বাড়তি ফ্যান লাগানোর
ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট
করুন
আপনার ইন্টারনেটের
ফাইলগুলো কি কখনো ডিলিট
করেছেন? যেকোনো ওয়েবসাইট
ভিজিট করলেই এসব ফাইল
কম্পিউটার সেভ করে রাখে। আর এ
প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার
ক্রমে ধীরগতির হয়ে যায়। এ
ঝামেলা দূর করার জন্য আপনার
নিয়মিত টেম্পোরারি ফাইল
ডিলিট করা উচিত। এ
ছাড়া কম্পিউটারেরও কিছু
টেম্পোরারি ফাইল থাকে।
এগুলো ডিলিট করার ভিন্ন
ভিন্ন পদ্ধতি আছে।
আপনি যে ব্রাউজার ব্যবহার
করেন সেটার এবং কম্পিউটারের
অপারেটিং সিস্টেম
অনুযায়ী খবর
নিয়ে টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট
করে নিন।
৪. একসঙ্গে বেশি প্রোগ্রাম
চালাবেন না
কম্পিউটারে যদি আপনার
একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রাম
কিংবা ওয়েবসাইট চালানোর
অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা বাদ
দিন। এ কারণে কম্পিউটারের
ব্যবহারযোগ্য মেমোরি কমে যায়
এবং কম্পিউটারের গতিও
কমে পাল্লা দিয়ে।
৫. কম্পিউটার চালু
কম্পিউটার চালুর সময় একাধিক
প্রোগ্রাম চলতে শুরু
করলে তা আপনার কম্পিউটারের
গতি অনেকাংশে কমিয়ে দেবে (যেমন
মেসেঞ্জার, একাধিক ভাইরাস
গার্ড, স্কাইপ)। এ
সমস্যা মোকাবিলায়
প্রোগ্রামগুলো যেন শুধু
প্রয়োজনের সময়েই
চলে এবং অন্য সময় না চলে,
সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৬.
মেমোরি সমস্যা মোকাবিলা
কম্পিউটার যদি হয়
পুরনো মডেলের তাহলে নতুন
সফটওয়্যার চালাতে তা সমস্যায়
পড়তে পারে। এ
সমস্যা মোকাবিলায় সবার
আগে দেখতে হবে কম্পিউটারে অতিরিক্ত
র্যাম লাগানোর উপায়
আছে কি না। যদি পর্যাপ্ত
র্যাম লাগানো যায়,
তাহলে কম্পিউটারের গতি আগের
তুলনায় অনেক বাড়বে।
৭. রক্ষণাবেক্ষণ
কম্পিউটারের নিয়মিত
রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
এর মধ্যে রয়েছে আপডেটেড
ভাইরাস গার্ড দিয়ে নিয়মিত
কম্পিউটার স্ক্যান করা। এ
ছাড়া খুঁজে দেখতে হবে স্পাইওয়্যারও।
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
আনইনস্টল করাও গুরুত্বপূর্ণ
একটি কাজ। আপনার কম্পিউটার
যদি অস্বাভাবিকভাবে ধীর
হয়ে যায় তাহলে আপডেটেড
অ্যান্টিভাইরাস
দিয়ে ভালোভাবে স্ক্যান
করে নেওয়া প্রয়োজন।