রোযা একটি কার্যকরী ডিটোক্সিফিকেশন
থেরাপি। যার
ফলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত
পদার্থগুলি ভেংগে পরে শরীর
থেকে বেরিয়ে আসে। যাদের
শরীরের ওজন বেশি এবং যাদের
কম, উভয়ের জন্যই রোজার
উপযোগীতা রয়েছে।
এটা সহজেই অনুমেয়
যে রোজা শরীরের ওজন কমায়।
রোজা সময়টুকুতে শরীরে জমে থাকা চর্বীগুলো ব্যবহ্রত
হয়,পুড়ে নি:ষেশিত হয়
এবং এইভাবে শরীরের ওজন
কমে যায়।
যাদের শরীরের ওজন কম
রোজা রাখার ফলে তাদের
হজমের প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক
হয়ে আসে। রোজা রাখার
ফলে তারা যে খাদ্য খায়
তা হজম করতে ও তার
থেকে পুষ্টিকে গ্রহন করার জন্য
শরীর তৈরি হয়ে উঠে।
রোজা অনেক ধরনের চর্ম রোগের
সমস্যা থেকে আমাদের
মুক্তি দেয়।
এটি হয়ে থাকে শরীর
থেকে বিষাক্ত
দ্রব্যগুলো বেরিয়ে যাওয়ার
ফলে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ হওয়ার
ফলে। রোজা সিগারেট
এবং মদের মত অনেক ধরনের
আসক্তি থেকেওআমাদের
মুক্তি দিতে পারে।
পুরোপুরি অভুক্ত থাকার প্রধান
সমস্যার দুটি হল
হাইপোকালেমিয়া এবং কার্ডিয়াক
এরিথমিয়া।
প্রথমটিতে রক্তে পটাসিয়ামের
লেভেল
অনেকটা নীচে নেমে যায় আর
দ্বিতীয়টিতে হার্টবিট
অস্বাভাবিক হয়ে পরে। কিন্তু
রোজা টোটাল ফাস্টিং নয়,
রোজাদাররা নিয়ম করে ইফতার
এবং সেহেরীর সময় খাদ্য গ্রহন
করে থাকেন।
রক্তে সুগারের
যে ঘাটতি দেখা দেয় তাও পুরন
হয়ে যায়। অতএব এটাতে কোন
মতভেদ নেই
যে রোজা মানবদেহের
স্বাস্থের আরো উন্নতি ঘটায়।
ইউনিভার্সিটি অফ
ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলীর এক
গবেষনায়
দেখা গেছে যে রোজা (ফাস্টিং)
রাখার ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্য
বিভিন্ন উপকার বয়ে আনে।
যেমন ক্যান্সারের
ঝুকি কমে যাওয়া,
বুড়িয়ে যাওয়ার
প্রক্রিয়াটিকে মন্হর
করে দেওয়া এবং জীবনচক্রটিকে সর্বোচ্চ
পর্যায়ে বাড়িয়ে দেওয়া।
অর্গানিজমের
জীবনচক্রটিকে (লাইফ স্পান)
বাড়িয়ে দেওয়ার একমাত্র
প্রমানিত পদ্ধতি হলে কম
ক্যালরী গ্রহন করা।
ক্যালরী রেসট্রিকসন ডায়েটের
মত রোজাও
ক্যালরী গ্রহনকে কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব
এজিং এর নিউরোসাইন্সের
যে ল্যাবরেটরি রয়েছে তার
প্রধান প্যাটারসনের অভিমত।
ন্যাশনাল একাডেমি অব
সাইন্সের
মতে রোজা (ফাস্টিং) রাখার
মধ্যে অন্যান্য উপকার হল
গিয়ে স্ট্রেস রেজিস্ট্যান্স
বা স্ট্রেস
কমিয়ে দেয়া ইনস্যুলিন
সেনসিটিভি বাড়িয়ে দেওয়া মরবিডিটি ( morbidity)
কমিয়ে দেওয়া এবং আবার
জীবনচক্র বা লাইফস্প্যান
বাড়িয়ে দেওয়া।
ইন্টরনেট অবলম্বনে।